এলিয়েনের খোঁজে মানুষ

১। অপারকাও প্রাটো, ব্রাজিল

অপারেশন প্লেট , শতাব্দীর সেরা ইউএফও তদন্তের মধ্যে একটি। ১৯৭৭ সাল। এই মিশনে ক্যাপ্টেন হলান্দা’র মিলিটারি ট্রুপের মাথার উপর দিয়ে হলুদ, সবুজ আলোক বিচ্ছুরিত করে একটি ইউএফও উড়ে যায়।  পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ আর ফটোগ্রাফাররা ৩০০ এরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে নদী তীরবর্তী এলাকা ও গভীর পানিতে ভ্রাম্যমান আলো বিচ্ছুরণকারী চাকতি নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পারেন। আরো জানা যায় যে, তাদের বিচ্ছুরিত সবুজ ও লাল আলো ত্বকে পড়ায় কিছু মানুষ প্যাঁরালাইজড ও ২ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে , হলান্দার মতে, ইউএফও গুলো ব্লাড স্যাম্পল নিতেই এসেছিল।  উপরমহল থেকে নিষেধ থাকা সত্তেও ক্যাপটেন একটি পত্রিকাতে সাক্ষাৎকার দেন, এবং ২ মাস পর তাকেসহ অনেক প্রত্যক্ষদর্শীকেও আত্মহত্যা করেন!  অনেক ফাইল আর খুঁজে পাওয়া যায়নি!

২। রাফ তদন্ত, অস্ট্রেলিয়া

১৯৩০ সাল।  এক অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোরস অফিসার জর্জ জোনসকে ভিক্টোরিয়াতে পাঠানো হয় ইউএফও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিষয়ে তদন্ত করতে। এদিকে অগাস্ট ২৩, ১৯৫৩ তে সিভিল এভিয়েশনের ডেপুটি ডিরেক্টর টম, পাপুয়া নিউগিনিতে একটি সিলভার রঙের বুলেট আকৃতির ইউএফওর ছবি তুলেন।  ১৯৮৩ তে রাডারে কয়েকটি ইউএফও ধরা পরার পর কোনো এক অজানা কারণে তদন্তের সমাপ্তি টানা হয় । শোনা যায় যে, অনেক তথ্য লোপাট কিংবা নষ্ট করে দেয়া হয়!

৩। ক্রিদোভনি, উরুগুয়ে

১৯৭৯ সালে উরুগুয়ে এয়ার ফোরসের তদন্তে বের হয় যে, ২% কেইসে গৃহপালিত পশু ,মানুষের উধাও হওয়া আর মাটিতে অদ্ভুত চাকার দাগ আর অবতরণস্থানের মাটির রাসায়নিক ফর্মুলার ভিন্নতায় ইউএফওর সংশ্লিষ্টতা থাকলেও থাকতে পারে । তবে অনেক তদন্তের পর ,ক্রিদোভনি সংস্থার পরিচালক সানচেজ জানান, উড়ন্ত যানের উৎসের ব্যাপারটা স্পষ্ট নয়,উপযুক্ত গবেষণা ব্যাতিত কোনো বিশেষ মতবাদের পক্ষে কথা বলা সমীচীন নয় ।

৪। জিপান, সেপ্রা ও জেইপান, ফ্রান্স

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৬০ সালে, ফ্রেঞ্চ সায়েনটিফিক রিসার্চ মিনিস্টার এলেইন পেরিফিটটি আমেরিকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ইউএফও তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেন।  পরবর্তীতে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে একজন মনোবিজ্ঞানীসহ ৪ জনের একটি দল প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে। এদিকে ১৯৮২ সালের জিপান রিপোর্ট অনুযায়ী, নানসি ওয়াটার লেকেও ইউএফও দেখা যায় । সেপ্রা রিপোর্টেও ইউএফও সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় । পরবর্তীতে ২০০৬ সালে নতুন গঠিত জেইপান এর ডিরেক্টর সিলারড দাবি করেন যে, আমেরিকা এ ব্যাপারে যথেষ্ট তদন্ত চালাচ্ছে, এবং বহির্জাগতিক প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের সভ্যতাকে সমৃদ্ধশালী করার উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বের কাছে ভুল তথ্য দিচ্ছে, তথ্য লুকাচ্ছে !

৫। যুক্তরাজ্যের ফ্লাইং সসার ওয়ার্কিং পার্টি

আগস্ট, ১৯৫০ । যুক্তরাজ্যে ফ্লাইং সসার ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয়, ৫ সদস্যের এ কমিটি ত্রাফাল্গার স্কয়ারের কাছে ৮ মাসের মত জরিপ করে।  জরিপে মত প্রকাশ করা হয় যে, অধিকাংশ ইউএফও সম্পর্কিত ঘটনাই আলোক বিভ্রম মাত্র । কিন্তু বাকী ঘটনাগুলো অমীমাংসিতই থেকে যার!  ২০০৯তে এই কমিটি কাজ বন্ধ করে দেয়, এই বলে যে, সামনের ৫০ বছরেও ইউএফও আক্রমণের কোনো সম্ভাবনাই নেই ।

৬। প্রোজেক্ট ম্যাগ্নেট, ও প্রোজেক্ট সেকেন্ড স্টোরি, কানাডা

১৯৫০ সালে কানাডার ট্রান্সপোর্ট রেডিও ইঞ্জিনিয়ার স্মিথ, পৃথিবীর ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে ফ্লাইং সসারের ফ্লাইট চিহ্নিত করা ও বুঝবার উদ্দেশ্যে প্রোজেক্ট ম্যাগ্নেটের গোড়াপত্তন করেন । তবে তাতে তেমন সাফল্য আসে নি।  অন্যদিকে প্রোজেক্ট সেকেন্ড স্টোরির লক্ষ্য ছিল প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করা। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই প্রোজেক্ট বাতিল হয়।

৭। চিফা, চিলি

১৯৯৭ সালে চিলির সিভিল এরোনটিক্স কর্মকর্তারা চাকালুতা এয়ারপোর্টে ২ দিন রাত্রিবেলার আকাশে অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব খেয়াল করছিলেন।  যার পথ ধরেই চিফা মিশনের সুত্রপাত।  পরবর্তীতে ২০১৪তে চিফা, কালাহৌসি কপার মাইনের উপর ১৪০০০ ফিট উপরে ভাসমান ডিস্ক আকৃতির বস্তুর ছবি প্রকাশ করে!   পরবর্তীতে অপারেশানটির চিফ মত প্রকাশ করেন যে, এরা অমিমাংসিত এবং আপাতত তাদের দ্বারা হুমকির কোনো আশংকা নেই ।

৮। পেরুর আকাশের অদ্ভূত ঘটনা

২০০১ সালের পর রাজধানী লিমার আশেপাশে ইউএফও এত বেশী দেখা যায় যে, পেরু সরকার তদন্তে নামতে বাধ্য হয়।  জনশ্রুতি আছে যে, ১৯৯১ তে প্রেসিডেন্ট ফুজিমোরি ,একদল মিলিটারি অফিসারসহ আমাজনে মাথার ১০০০ ফিট উপরে উড়ন্ত ধাতব কিছুর দেখা পান, যা তিনি কোন কারণে ধামাচাপা দেন!  এর অনেকদিন পর এয়ার কমান্ডার জুলিও সিজার কেমরু জানান যে, তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ইউএফও সম্পর্কে অনেক কল পান।  তার কিছুদিন পর একজন পাইলট দাবি করে বসে যে,আকাশে থাকার সময় তার ঘড়িতে সময় ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে ছিল, কিন্তু ফুয়েলের কোনো ঘাটতি হয়নি ! অবশেষে বৈজ্ঞানিকদের দ্বারা তথ্য যাচাই বাছাইয়ের পর সরকার জানায় যে, ব্যাপারটা কাল্পনিক নাকি বাস্তব, সেটা বোধগম্য নয় ।

৯। সেটকো মো এবং সেটকো এএস, সোভিয়েট ইউনিয়ন

সেপ্টেম্বর ২০, ১৯৭৭। পেত্রোজাভোডেসক গ্রামের অধিবাসীরা মাথার উপর দিয়ে লালবর্ণের বস্তুকে উড়ে যেতে দেখল। এরপর বিভিন্ন সময়ে ইউ এফ ও দেখা যাওয়ায় ১৯৭৮ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন গোপন তদন্ত কর্মসূচী পরিচালনা করে । বিভিন্ন রিপোর্ট আর তথ্য যাচাই বাছাই এর পর সেনাবাহিনী ও বৈজ্ঞানিকরা মত প্রকাশ করেন যে, এগুলো হয়ত অজানা মহাজাগতিক যান কিংবা আমেরিকা, জাপানের মিলিটারি ইকুইপমেণ্ট !

১০। প্রোজেক্ট সাইন, গ্রাজ এন্ড ব্লু বুক, যুক্তরাষ্ট্র

১৯৪৭ সালের জুনের ২৪ তারিখ।   কেণেট আর্নল্ড ওয়াশিঙটনের মাঊণ্ট রেইনাতে ১২০০ নট উচ্চতায় একটি উড়ন্ত যান দেখতে পা। তখন একটি গুজব ছিল যে, এগুলো আমেরিকার এয়ারক্র্যাফট টেস্ট । ১৯৪৭ এ প্রোজেক্ট সাইন এ গুজব ভিত্তিহীন দাবী করে।  কিন্তু ইউএফওর অস্তিত্ব যে আছে, তা অনেকটাই প্রমাণিত হয়। জনগণের উৎকন্ঠা বেড়ে যাওয়ায়, উপরের আদেশে ডকুমেন্টসগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় । ১৯৬৯ সালে এয়ারফোরসের ১২৬১৮টি ইউএফও ফাইলস নিয়ে দীর্ঘ তদন্তের পর কলোরাডো ভার্সিটি দাবি করে যে, ইউএফও কিংবা বহিরজাগতিক প্রযুক্তি বলতে কিছু নেই, এবং বিপদের কোনো আশংকাও নেই । তবে এ বিষয়ে সিআইএ, ডিআইএ কিংবা নাসার নিজস্ব তদন্তের ফলাফল প্রকাশ না করাটা প্রশ্নবোধক চিহ্নের জন্ম দেয়!

দ্য ভিঞ্চি কোড



দ্য ভিঞ্চি কোড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাসাহিত্যিক ড্যান ব্রাউন রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।, এই উপন্যাস অবলম্বনে একই শিরোনামে একটি হলিউড চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ২০০৩ সালে ডাবলডে প্রকাশনী এই রহস্যমূলক উপন্যাসটি বইটি প্রকাশ করে। এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এর ধর্মীয় প্রতীক বিদ্যার অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন ও সোফি নেভুর প্যারিস এর ল্যুভ জাদুঘরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে। তদন্তে বেরিয়ে আসে যিশুর সাথে ম্যারি ম্যাগদালিন এর বিয়ে হয়েছে কি হয়নি এ নিয়ে প্রায়োরি অব সাইওন এবং ওপাস দাই এর মধ্যকার চলমান এক দ্বন্দ্বের কথা। বইটি বিশ্বজুড়ে "বেস্টসেলার" হয় এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। বইটি বাঙলা সহ প্রায় ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়
আশা করি বইটি আপনাদের ভালো লাগবে।

দ্য ভিঞ্চি কোড

হ্যাকিং এবং হ্যাকার: পর্ব-১

হ্যাকিং আজকের দিনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর  মধ্যে একটা। আজকের তরুণদের পছন্দের দুটি শব্দ হলো হ্যাকার এবং হ্যাকিং। আমরা ইদানিং বেশ কয়েকটি আলোচিত হ্যাক এর কথা শুনছি। পানামা তার মধ্যে অন্যতম একটি। আমাদের দেশে এটিএম কার্ড জালিয়াতি, ব্যাংক ডাকাতির মত গুরুত্বপূর্ণ হ্যাকিং এর খবর আমাদের অজানা নয়। তবে আমাদের মধ্যে হ্যাকিং নিয়ে নানা ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করে হ্যাকিং মানেই শুধু ফেসবুক আইডি চোর। ব্যপারটা মটেও সেরকম না। হ্যাকার একটা সাফল্য, একটা মর্যাদা, একটা উপাধি। চলুন, আজ হ্যাকিং এবং হ্যাকার নিয়েই আলোচনা করা যাক।
Anonymous


হ্যাকিং এবং হ্যাকার
হ্যাকিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কেউ বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা হ্যাকিং করে তাদের বলে হ্যাকার। শুদ্ধ সংজ্ঞা বলতে গেলে, ‘হ্যাকার হচ্ছেন সেই ব্যাক্তি যিনি নিরাপত্তা/অনিরাপত্তার সাথে জড়িত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিক খুঁজে বেড় করায় বিশেষভাবে দক্ষ অথবা অন্য কম্পিউটার ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশে সক্ষম বা এর সম্পর্কে গভির জ্ঞানের অধিকারী।‘  সহজ কথায়, কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেটির নিরাপত্তা ভাঙ্গাই হ্যাকারের কাজ।
Ghost squad


এবার আসি হ্যাকারদের প্রকারভেদ সম্পর্কে। কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
1.       হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার: হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হলো সেই ব্যাক্তি, যিনি কোনো সিকিউরিটি সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ত্রুটিগুলো সম্পর্কে অবহিত করে। এই সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে কোনো কম্পিউটার, বা কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট, বা কোনো প্রোগ্রাম। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা মূলত সাইবার ওয়ার্ল্ডে নিরাপত্তা প্রদান করে। এদেরকে ইথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়। কোনো সিস্টেমে নিরাপত্তা প্রদান করাই এদের কাজ।
2.       ব্লাক হ্যাট হ্যাকার: হ্যাকার বলতে মূলত এদেরকেই বোঝায়। এরা বিভিন্ন সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বেড়ায় শুধুমাত্র নিজেদের আর্থিক অথবা ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এরা কোনো সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটিগুলো বেড় করলে তা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেমের ডাটাবেজ নষ্ট করে, কখনও বা বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে  দেয়। অথবা কোনো নতুন ত্রুটি তৈরি করে রাখে, যাতে ভবিষ্যতে আবার সেই সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। কতভাবে অন্যকে নাকানি-চুবানি দেয়া যায়, এটা হিসাব নিকাশ করাই এদের একমাত্র লক্ষ্য।
3.       গ্রে হ্যাট হ্যাকার: এরা হলো হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এবং ব্লাক হ্যাট হ্যাকার এর মাঝামাঝি অবস্থা। অর্থাৎ, এরা ভালো এবং খারাপ দুটোই করে থাকে। বেশিরভাগ হ্যাকাররাই এই ক্যাটাগরিতে পরে। এরা কোনো সিস্টেমের ত্রুটি সাধন করে কখনো ঐ সিস্টেমের মালিককে জানায়, কখনো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে, সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে। দিনে ভালো-রাতে খারাপ, এরা হলো এই টাইপের।
এখন হ্যাকারদের আরো কিছু চেহারার সাথে পরিচিত হওয়া যাক...
  এলিট হ্যাকার (Elite Hacker): এরা খুবই দক্ষ হ্যাকার। কোনো সিস্টেমকে হ্যাক করার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে লুকায়িত হতে পারে। নিত্যনতুন হ্যাকিং কৌশল আবিষ্কার করে। একই সাথে কোনো মেথডকে আরো নিখুঁত করার চেষ্টায় থাকে। এরা প্রোগ্রামিং এ বিশেষ দক্ষ। বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং টুলস এবং এক্সপ্লয়েট মূলত এরাই তৈরি করে থাকে।
ক্র্যাকার: ব্লাক হ্যাট হ্যাকাররাই মূলত ক্র্যাকার (Cracker)এদের কাজ হলো বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম তৈরি করা এবং অনুমতি ছাড়া কোনো কপিরাইট প্রটেক্টেড সফটওয়্যারের কোড ভেঙ্গে ফেলা।
স্ক্রিপ্ট কিডি: এরা প্রোগ্রামিং এ তেমন দক্ষ নয়। নিজেরা কোনো টুলস তৈরি করতে পারে না, অন্যের বানানো টুলস বা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে থাকে। কোনো সিস্টেম হ্যাক করার পর এরা সঠিকভাবে নিজেদের লুকিয়ে নিতেও পারে না।

নিওফাইট: এরা হলো বিগিনার। হ্যাকিং এর নতুন শিক্ষার্থী। হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা কোনোটাই এদের নেই। এদেরকে নিউবি বা নবুও বলা হয়।

সময় পরিভ্রমণ কি আসলেই সম্ভব?

সময় পরিভ্রমণ কি সম্ভব? সায়েন্স ফিকশনগুলোতে সময় পরিভ্রমণ করে অতীত বা ভবিষৎতে যাওয়া-আসা দেখানো হয়। সুতরাং খুব বাড়াবাড়ি রকম সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত ছাড়া সবাই বলবে যে, না, সময় পরিভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান কিন্তু একধরণের সময় পরিভ্রমণের কথা স্বীকার করে। আইনস্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিটি থেকে আমরা জানি, কোন নভোচারী যদি দূরবর্তী কোন গ্রহ বা নক্ষত্রে আলোর কাছাকাছি কোন বেগে ভ্রমণ করে তাহলে সে একশো বছরের ভবিষ্যতেও যেতে পারবে। কারণ এই প্রক্রিয়ায় তার মাত্র কয়েক বছর ব্যয় হবে। সুতরাং না হয় ধরেই নেয়া হলো যে, ভবিষ্যৎ সময়ে এভাবে পাড়ি দেয়া সম্ভব, কিন্তু অতীতে? বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলোতে এ ধরণের ঘটনা দেখানো হয়, যা আপাতত দৃষ্টিতে অসম্ভব। ধরুন, আপনার জন্ম ১৯৬০ সালে। এখন যদি আপনি সময় পরিভ্রমণ করে ১৯০০ সালে যেতে চান সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে? কারণ, সেই সময় তো আপনি জন্মগ্রহণই করেননি। তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেয়া হয় যে, আপনি সময় পরিভ্রমণ করে আপনার শৈশবে ফিরে গেছেন, তবুও এটা ধরে নেয়া অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হবে না যে, সময় পরিভ্রমণ করে আপনার জন্মের আগের সময়েও আপনি যেতে পারবেন।
এ ধরণের প্যারাডক্স এড়ানোর জন্য দুটি বিকল্প কথা চিন্তা করা যায়। একধরণের সামাধানে বলা হয় যে, অতীত সময় পরিভ্রমণকারীরা নতুন একধরণের টাইমলাইন সৃষ্টি করবে। যেটা প্রকৃত ঘটনা, যেটা ঘটেছে সেটার সমান্তরাল কিন্তু স্বাত্বন্ত্র্যপূর্ণ হবে। যেমন ধরে নেয়া হলো, টাইম মেশিনের আবিস্কারক অতীত সময় পরিভ্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যা প্রতিরোধ করতে চাইল। সে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে কোন একদিন টাইম মেশিনে রওনা হলো এবং ১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর (কেনেডির মৃত্যুদিন) সকালের ডালাসে পৌছাল, সকালের সংবাদপত্র সেদিনকার তারিখ নিশ্চিত করছে। শহরের সবাই কেনেডিকে উঞ্চ অভিনন্দন দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে এরকম অনেক কিছু। কিন্তু প্যারাডক্সের সমাধান মতে এটা অরিজিনাল ১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর নয়, যেদিনের ইতিহাস বইয়ে আছে অথবা প্রবীনদের মস্তিষ্কে আছে। অরিজিনাল ২২শে নভেম্বর ১৯৬৩ সালে আমাদের ভ্রমণকারী যেখানে ছিল না, সে সেদিনকার সংবাদপত্রের কপিও কেনেডি অথবা কেনেডির হত্যাকারী অসওয়ার্ল্ডকে দেখে সন্দেহ করেনি। তার এই সকাল পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও ছিল না। তাহলে ভ্রমণকারী প্রকৃতপক্ষে ১৯৬৩ এর ২২শে নভেম্বর যায়নি। সুতরাং এক্ষেত্রে কেনইবা দাবী করা হবে যে ঐ সময়ে গিয়েছিল। এটার সমাধান হলো আসলে সময় পরিভ্রমণকারী যেখানে যাবে সেটা একটা সমান্তরাল বিশ্ব, যেখানে পৃথিবীর সমান্তরাল কিছু ঘটনাই অথবা ধরা যাক প্রকৃতপক্ষে এখানে যা ঘটেছে সেটাই ঘটেছে।
সময় পরিভ্রমণ প্যারাডক্স সমাধানের দ্বিতীয় পন্থায় ধরে নেয়া হয় যে, পরিভ্রমণকারী ঐ সময়ে পরিভ্রমণ করবে ঠিকই কিন্তু ঘটনার কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। অর্থাৎ ধরে নেয়া হলো যে, পরিভ্রমণকারী ১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বরে পৌঁছল ঠিকই, সংবাদপত্র কিনে সেদিনের তারিখ দেখে নিশ্চিতও হলো, এমনকি কেনেডির গুপ্তহত্যা ঠেকাতে চেষ্টাও করল কিন্তু পারল না। অথবা অসওয়ার্ল্ডকে গুলি করা থেকে নিবৃত্তও করল কিন্তু ধরে নেয়া হলো যে, সেখানে আরো গানম্যান ছিল যাদের সে রুখতে পারল না। অর্থাৎ সময় পরিভ্রমণকারীরা অতীত সময়ে যেতে পারল ঠিকই কিন্তু প্রকৃত ঘটনা বা ইতিহাসের কোন পরিবর্তন করতে পারল না। এধরণের সময় পরিভ্রমণ যৌক্তিকভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটা ফিজিকালী বা শারীরীকভাবে সম্ভব হবে। কারণ, হিসেব করে দেখা গেছে যে, একাজে যে পরিমাণ শক্তির দরকার হবে সেটা প্রকৃত অর্থেই অকল্পনীয় এবং প্রকৃতি সে পরিমাণ শক্তিকে সমর্থনও করে না। আবার একটি যুক্তি দিয়ে অনেকে দেখিয়ে দেন যে, সময় পরিভ্রমণ বাস্তবে কখনও সম্ভব নয়। যদি ধরেই নেয়া হয় বর্তমান প্রযুক্তিগত অসুবিধার কারণে শারীরীকভাবে সময় পরিভ্রমণ করতে যে পরিমাণ শক্তি দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু এটা তো অন্তত ধরে নেয়া যাবে যে ভবিষৎতে প্রযুক্তিগত আরো উৎকর্ষ সাধন হলে এ পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মানুষরা সময় পরিভ্রমণ করতে পারবে। সুতরাং অবশ্যই তারা অতীত পৃথিবী ভ্রমণ করতে চাইবে। কিন্তু আমরা কি আমাদের মানব সভ্যতার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এরকম কোন অতীত সময় পরিভ্রমণকারী দেখতে পাই? সুতরাং হাজার হাজার বছর পরের উন্নত প্রযুক্তির পৃথিবীর মানুষই যদি সময় পরিভ্রমণ করে আমাদের এ সময় বা আগেকার কোন সময়ে আসতে পারেনি, তাহলে কেনইবা আমরা সময় পরিভ্রমণের ব্যাখ্যা মেনে নেব? সুতরাং ওয়েলসের টাইম মেশিন নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়ে সেগুলোকে আগামী দিনের ঘটনা মনে হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ কি মেনে নেয়া উচিত হবে?

#Collected from: http://www.sachalayatan.com/

Science Pictures

http://sciencepicturess.blogspot.com

বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবির একটি সুন্দর কালেকশন। আশা করি সবার ভালো লাগবে।