A Brief History of Time

স্যার স্টিফেন হকিং এর লেখা বিখ্যাত বই A Brief History of Time. বইটি পড়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়েও অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেক দিন। এখন আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি এই বিখ্যাত বইটির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন। আশা করি প্রত্যেক বিজ্ঞান প্রেমিদের ভালো লাগবে।


A Brief History of Time (Bangla)

A Brief History of Time (English)

এলিয়েনের খোঁজে মানুষ

১। অপারকাও প্রাটো, ব্রাজিল

অপারেশন প্লেট , শতাব্দীর সেরা ইউএফও তদন্তের মধ্যে একটি। ১৯৭৭ সাল। এই মিশনে ক্যাপ্টেন হলান্দা’র মিলিটারি ট্রুপের মাথার উপর দিয়ে হলুদ, সবুজ আলোক বিচ্ছুরিত করে একটি ইউএফও উড়ে যায়।  পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ আর ফটোগ্রাফাররা ৩০০ এরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে নদী তীরবর্তী এলাকা ও গভীর পানিতে ভ্রাম্যমান আলো বিচ্ছুরণকারী চাকতি নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পারেন। আরো জানা যায় যে, তাদের বিচ্ছুরিত সবুজ ও লাল আলো ত্বকে পড়ায় কিছু মানুষ প্যাঁরালাইজড ও ২ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে , হলান্দার মতে, ইউএফও গুলো ব্লাড স্যাম্পল নিতেই এসেছিল।  উপরমহল থেকে নিষেধ থাকা সত্তেও ক্যাপটেন একটি পত্রিকাতে সাক্ষাৎকার দেন, এবং ২ মাস পর তাকেসহ অনেক প্রত্যক্ষদর্শীকেও আত্মহত্যা করেন!  অনেক ফাইল আর খুঁজে পাওয়া যায়নি!

২। রাফ তদন্ত, অস্ট্রেলিয়া

১৯৩০ সাল।  এক অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোরস অফিসার জর্জ জোনসকে ভিক্টোরিয়াতে পাঠানো হয় ইউএফও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিষয়ে তদন্ত করতে। এদিকে অগাস্ট ২৩, ১৯৫৩ তে সিভিল এভিয়েশনের ডেপুটি ডিরেক্টর টম, পাপুয়া নিউগিনিতে একটি সিলভার রঙের বুলেট আকৃতির ইউএফওর ছবি তুলেন।  ১৯৮৩ তে রাডারে কয়েকটি ইউএফও ধরা পরার পর কোনো এক অজানা কারণে তদন্তের সমাপ্তি টানা হয় । শোনা যায় যে, অনেক তথ্য লোপাট কিংবা নষ্ট করে দেয়া হয়!

৩। ক্রিদোভনি, উরুগুয়ে

১৯৭৯ সালে উরুগুয়ে এয়ার ফোরসের তদন্তে বের হয় যে, ২% কেইসে গৃহপালিত পশু ,মানুষের উধাও হওয়া আর মাটিতে অদ্ভুত চাকার দাগ আর অবতরণস্থানের মাটির রাসায়নিক ফর্মুলার ভিন্নতায় ইউএফওর সংশ্লিষ্টতা থাকলেও থাকতে পারে । তবে অনেক তদন্তের পর ,ক্রিদোভনি সংস্থার পরিচালক সানচেজ জানান, উড়ন্ত যানের উৎসের ব্যাপারটা স্পষ্ট নয়,উপযুক্ত গবেষণা ব্যাতিত কোনো বিশেষ মতবাদের পক্ষে কথা বলা সমীচীন নয় ।

৪। জিপান, সেপ্রা ও জেইপান, ফ্রান্স

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৬০ সালে, ফ্রেঞ্চ সায়েনটিফিক রিসার্চ মিনিস্টার এলেইন পেরিফিটটি আমেরিকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ইউএফও তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেন।  পরবর্তীতে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সালের মধ্যে একজন মনোবিজ্ঞানীসহ ৪ জনের একটি দল প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে। এদিকে ১৯৮২ সালের জিপান রিপোর্ট অনুযায়ী, নানসি ওয়াটার লেকেও ইউএফও দেখা যায় । সেপ্রা রিপোর্টেও ইউএফও সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায় । পরবর্তীতে ২০০৬ সালে নতুন গঠিত জেইপান এর ডিরেক্টর সিলারড দাবি করেন যে, আমেরিকা এ ব্যাপারে যথেষ্ট তদন্ত চালাচ্ছে, এবং বহির্জাগতিক প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের সভ্যতাকে সমৃদ্ধশালী করার উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বের কাছে ভুল তথ্য দিচ্ছে, তথ্য লুকাচ্ছে !

৫। যুক্তরাজ্যের ফ্লাইং সসার ওয়ার্কিং পার্টি

আগস্ট, ১৯৫০ । যুক্তরাজ্যে ফ্লাইং সসার ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয়, ৫ সদস্যের এ কমিটি ত্রাফাল্গার স্কয়ারের কাছে ৮ মাসের মত জরিপ করে।  জরিপে মত প্রকাশ করা হয় যে, অধিকাংশ ইউএফও সম্পর্কিত ঘটনাই আলোক বিভ্রম মাত্র । কিন্তু বাকী ঘটনাগুলো অমীমাংসিতই থেকে যার!  ২০০৯তে এই কমিটি কাজ বন্ধ করে দেয়, এই বলে যে, সামনের ৫০ বছরেও ইউএফও আক্রমণের কোনো সম্ভাবনাই নেই ।

৬। প্রোজেক্ট ম্যাগ্নেট, ও প্রোজেক্ট সেকেন্ড স্টোরি, কানাডা

১৯৫০ সালে কানাডার ট্রান্সপোর্ট রেডিও ইঞ্জিনিয়ার স্মিথ, পৃথিবীর ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড ব্যবহার করে ফ্লাইং সসারের ফ্লাইট চিহ্নিত করা ও বুঝবার উদ্দেশ্যে প্রোজেক্ট ম্যাগ্নেটের গোড়াপত্তন করেন । তবে তাতে তেমন সাফল্য আসে নি।  অন্যদিকে প্রোজেক্ট সেকেন্ড স্টোরির লক্ষ্য ছিল প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করা। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই প্রোজেক্ট বাতিল হয়।

৭। চিফা, চিলি

১৯৯৭ সালে চিলির সিভিল এরোনটিক্স কর্মকর্তারা চাকালুতা এয়ারপোর্টে ২ দিন রাত্রিবেলার আকাশে অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব খেয়াল করছিলেন।  যার পথ ধরেই চিফা মিশনের সুত্রপাত।  পরবর্তীতে ২০১৪তে চিফা, কালাহৌসি কপার মাইনের উপর ১৪০০০ ফিট উপরে ভাসমান ডিস্ক আকৃতির বস্তুর ছবি প্রকাশ করে!   পরবর্তীতে অপারেশানটির চিফ মত প্রকাশ করেন যে, এরা অমিমাংসিত এবং আপাতত তাদের দ্বারা হুমকির কোনো আশংকা নেই ।

৮। পেরুর আকাশের অদ্ভূত ঘটনা

২০০১ সালের পর রাজধানী লিমার আশেপাশে ইউএফও এত বেশী দেখা যায় যে, পেরু সরকার তদন্তে নামতে বাধ্য হয়।  জনশ্রুতি আছে যে, ১৯৯১ তে প্রেসিডেন্ট ফুজিমোরি ,একদল মিলিটারি অফিসারসহ আমাজনে মাথার ১০০০ ফিট উপরে উড়ন্ত ধাতব কিছুর দেখা পান, যা তিনি কোন কারণে ধামাচাপা দেন!  এর অনেকদিন পর এয়ার কমান্ডার জুলিও সিজার কেমরু জানান যে, তিনি কৃষকদের কাছ থেকে ইউএফও সম্পর্কে অনেক কল পান।  তার কিছুদিন পর একজন পাইলট দাবি করে বসে যে,আকাশে থাকার সময় তার ঘড়িতে সময় ৩ ঘণ্টা পিছিয়ে ছিল, কিন্তু ফুয়েলের কোনো ঘাটতি হয়নি ! অবশেষে বৈজ্ঞানিকদের দ্বারা তথ্য যাচাই বাছাইয়ের পর সরকার জানায় যে, ব্যাপারটা কাল্পনিক নাকি বাস্তব, সেটা বোধগম্য নয় ।

৯। সেটকো মো এবং সেটকো এএস, সোভিয়েট ইউনিয়ন

সেপ্টেম্বর ২০, ১৯৭৭। পেত্রোজাভোডেসক গ্রামের অধিবাসীরা মাথার উপর দিয়ে লালবর্ণের বস্তুকে উড়ে যেতে দেখল। এরপর বিভিন্ন সময়ে ইউ এফ ও দেখা যাওয়ায় ১৯৭৮ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন গোপন তদন্ত কর্মসূচী পরিচালনা করে । বিভিন্ন রিপোর্ট আর তথ্য যাচাই বাছাই এর পর সেনাবাহিনী ও বৈজ্ঞানিকরা মত প্রকাশ করেন যে, এগুলো হয়ত অজানা মহাজাগতিক যান কিংবা আমেরিকা, জাপানের মিলিটারি ইকুইপমেণ্ট !

১০। প্রোজেক্ট সাইন, গ্রাজ এন্ড ব্লু বুক, যুক্তরাষ্ট্র

১৯৪৭ সালের জুনের ২৪ তারিখ।   কেণেট আর্নল্ড ওয়াশিঙটনের মাঊণ্ট রেইনাতে ১২০০ নট উচ্চতায় একটি উড়ন্ত যান দেখতে পা। তখন একটি গুজব ছিল যে, এগুলো আমেরিকার এয়ারক্র্যাফট টেস্ট । ১৯৪৭ এ প্রোজেক্ট সাইন এ গুজব ভিত্তিহীন দাবী করে।  কিন্তু ইউএফওর অস্তিত্ব যে আছে, তা অনেকটাই প্রমাণিত হয়। জনগণের উৎকন্ঠা বেড়ে যাওয়ায়, উপরের আদেশে ডকুমেন্টসগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয় । ১৯৬৯ সালে এয়ারফোরসের ১২৬১৮টি ইউএফও ফাইলস নিয়ে দীর্ঘ তদন্তের পর কলোরাডো ভার্সিটি দাবি করে যে, ইউএফও কিংবা বহিরজাগতিক প্রযুক্তি বলতে কিছু নেই, এবং বিপদের কোনো আশংকাও নেই । তবে এ বিষয়ে সিআইএ, ডিআইএ কিংবা নাসার নিজস্ব তদন্তের ফলাফল প্রকাশ না করাটা প্রশ্নবোধক চিহ্নের জন্ম দেয়!

দ্য ভিঞ্চি কোড



দ্য ভিঞ্চি কোড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথাসাহিত্যিক ড্যান ব্রাউন রচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস।, এই উপন্যাস অবলম্বনে একই শিরোনামে একটি হলিউড চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ২০০৩ সালে ডাবলডে প্রকাশনী এই রহস্যমূলক উপন্যাসটি বইটি প্রকাশ করে। এর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এর ধর্মীয় প্রতীক বিদ্যার অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন ও সোফি নেভুর প্যারিস এর ল্যুভ জাদুঘরে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে। তদন্তে বেরিয়ে আসে যিশুর সাথে ম্যারি ম্যাগদালিন এর বিয়ে হয়েছে কি হয়নি এ নিয়ে প্রায়োরি অব সাইওন এবং ওপাস দাই এর মধ্যকার চলমান এক দ্বন্দ্বের কথা। বইটি বিশ্বজুড়ে "বেস্টসেলার" হয় এবং ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। বইটি বাঙলা সহ প্রায় ৪৫টি ভাষায় অনূদিত হয়
আশা করি বইটি আপনাদের ভালো লাগবে।

দ্য ভিঞ্চি কোড

হ্যাকিং এবং হ্যাকার: পর্ব-১

হ্যাকিং আজকের দিনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর  মধ্যে একটা। আজকের তরুণদের পছন্দের দুটি শব্দ হলো হ্যাকার এবং হ্যাকিং। আমরা ইদানিং বেশ কয়েকটি আলোচিত হ্যাক এর কথা শুনছি। পানামা তার মধ্যে অন্যতম একটি। আমাদের দেশে এটিএম কার্ড জালিয়াতি, ব্যাংক ডাকাতির মত গুরুত্বপূর্ণ হ্যাকিং এর খবর আমাদের অজানা নয়। তবে আমাদের মধ্যে হ্যাকিং নিয়ে নানা ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করে হ্যাকিং মানেই শুধু ফেসবুক আইডি চোর। ব্যপারটা মটেও সেরকম না। হ্যাকার একটা সাফল্য, একটা মর্যাদা, একটা উপাধি। চলুন, আজ হ্যাকিং এবং হ্যাকার নিয়েই আলোচনা করা যাক।
Anonymous


হ্যাকিং এবং হ্যাকার
হ্যাকিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে কেউ বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা হ্যাকিং করে তাদের বলে হ্যাকার। শুদ্ধ সংজ্ঞা বলতে গেলে, ‘হ্যাকার হচ্ছেন সেই ব্যাক্তি যিনি নিরাপত্তা/অনিরাপত্তার সাথে জড়িত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল দিক খুঁজে বেড় করায় বিশেষভাবে দক্ষ অথবা অন্য কম্পিউটার ব্যবস্থায় অবৈধ অনুপ্রবেশে সক্ষম বা এর সম্পর্কে গভির জ্ঞানের অধিকারী।‘  সহজ কথায়, কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে দুর্বলতা খুঁজে বের করে সেটির নিরাপত্তা ভাঙ্গাই হ্যাকারের কাজ।
Ghost squad


এবার আসি হ্যাকারদের প্রকারভেদ সম্পর্কে। কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
1.       হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার: হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার হলো সেই ব্যাক্তি, যিনি কোনো সিকিউরিটি সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ত্রুটিগুলো সম্পর্কে অবহিত করে। এই সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে কোনো কম্পিউটার, বা কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ওয়েবসাইট, বা কোনো প্রোগ্রাম। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা মূলত সাইবার ওয়ার্ল্ডে নিরাপত্তা প্রদান করে। এদেরকে ইথিক্যাল হ্যাকারও বলা হয়। কোনো সিস্টেমে নিরাপত্তা প্রদান করাই এদের কাজ।
2.       ব্লাক হ্যাট হ্যাকার: হ্যাকার বলতে মূলত এদেরকেই বোঝায়। এরা বিভিন্ন সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বেড়ায় শুধুমাত্র নিজেদের আর্থিক অথবা ব্যাক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য। এরা কোনো সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটিগুলো বেড় করলে তা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেমের ডাটাবেজ নষ্ট করে, কখনও বা বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে  দেয়। অথবা কোনো নতুন ত্রুটি তৈরি করে রাখে, যাতে ভবিষ্যতে আবার সেই সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে। কতভাবে অন্যকে নাকানি-চুবানি দেয়া যায়, এটা হিসাব নিকাশ করাই এদের একমাত্র লক্ষ্য।
3.       গ্রে হ্যাট হ্যাকার: এরা হলো হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার এবং ব্লাক হ্যাট হ্যাকার এর মাঝামাঝি অবস্থা। অর্থাৎ, এরা ভালো এবং খারাপ দুটোই করে থাকে। বেশিরভাগ হ্যাকাররাই এই ক্যাটাগরিতে পরে। এরা কোনো সিস্টেমের ত্রুটি সাধন করে কখনো ঐ সিস্টেমের মালিককে জানায়, কখনো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে, সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে। দিনে ভালো-রাতে খারাপ, এরা হলো এই টাইপের।
এখন হ্যাকারদের আরো কিছু চেহারার সাথে পরিচিত হওয়া যাক...
  এলিট হ্যাকার (Elite Hacker): এরা খুবই দক্ষ হ্যাকার। কোনো সিস্টেমকে হ্যাক করার পাশাপাশি দক্ষতার সাথে লুকায়িত হতে পারে। নিত্যনতুন হ্যাকিং কৌশল আবিষ্কার করে। একই সাথে কোনো মেথডকে আরো নিখুঁত করার চেষ্টায় থাকে। এরা প্রোগ্রামিং এ বিশেষ দক্ষ। বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং টুলস এবং এক্সপ্লয়েট মূলত এরাই তৈরি করে থাকে।
ক্র্যাকার: ব্লাক হ্যাট হ্যাকাররাই মূলত ক্র্যাকার (Cracker)এদের কাজ হলো বিভিন্ন ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম তৈরি করা এবং অনুমতি ছাড়া কোনো কপিরাইট প্রটেক্টেড সফটওয়্যারের কোড ভেঙ্গে ফেলা।
স্ক্রিপ্ট কিডি: এরা প্রোগ্রামিং এ তেমন দক্ষ নয়। নিজেরা কোনো টুলস তৈরি করতে পারে না, অন্যের বানানো টুলস বা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে থাকে। কোনো সিস্টেম হ্যাক করার পর এরা সঠিকভাবে নিজেদের লুকিয়ে নিতেও পারে না।

নিওফাইট: এরা হলো বিগিনার। হ্যাকিং এর নতুন শিক্ষার্থী। হ্যাকিং এর প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা কোনোটাই এদের নেই। এদেরকে নিউবি বা নবুও বলা হয়।

সময় পরিভ্রমণ কি আসলেই সম্ভব?

সময় পরিভ্রমণ কি সম্ভব? সায়েন্স ফিকশনগুলোতে সময় পরিভ্রমণ করে অতীত বা ভবিষৎতে যাওয়া-আসা দেখানো হয়। সুতরাং খুব বাড়াবাড়ি রকম সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত ছাড়া সবাই বলবে যে, না, সময় পরিভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান কিন্তু একধরণের সময় পরিভ্রমণের কথা স্বীকার করে। আইনস্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিটি থেকে আমরা জানি, কোন নভোচারী যদি দূরবর্তী কোন গ্রহ বা নক্ষত্রে আলোর কাছাকাছি কোন বেগে ভ্রমণ করে তাহলে সে একশো বছরের ভবিষ্যতেও যেতে পারবে। কারণ এই প্রক্রিয়ায় তার মাত্র কয়েক বছর ব্যয় হবে। সুতরাং না হয় ধরেই নেয়া হলো যে, ভবিষ্যৎ সময়ে এভাবে পাড়ি দেয়া সম্ভব, কিন্তু অতীতে? বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীগুলোতে এ ধরণের ঘটনা দেখানো হয়, যা আপাতত দৃষ্টিতে অসম্ভব। ধরুন, আপনার জন্ম ১৯৬০ সালে। এখন যদি আপনি সময় পরিভ্রমণ করে ১৯০০ সালে যেতে চান সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে? কারণ, সেই সময় তো আপনি জন্মগ্রহণই করেননি। তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেয়া হয় যে, আপনি সময় পরিভ্রমণ করে আপনার শৈশবে ফিরে গেছেন, তবুও এটা ধরে নেয়া অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হবে না যে, সময় পরিভ্রমণ করে আপনার জন্মের আগের সময়েও আপনি যেতে পারবেন।
এ ধরণের প্যারাডক্স এড়ানোর জন্য দুটি বিকল্প কথা চিন্তা করা যায়। একধরণের সামাধানে বলা হয় যে, অতীত সময় পরিভ্রমণকারীরা নতুন একধরণের টাইমলাইন সৃষ্টি করবে। যেটা প্রকৃত ঘটনা, যেটা ঘটেছে সেটার সমান্তরাল কিন্তু স্বাত্বন্ত্র্যপূর্ণ হবে। যেমন ধরে নেয়া হলো, টাইম মেশিনের আবিস্কারক অতীত সময় পরিভ্রমণ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির গুপ্তহত্যা প্রতিরোধ করতে চাইল। সে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে কোন একদিন টাইম মেশিনে রওনা হলো এবং ১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর (কেনেডির মৃত্যুদিন) সকালের ডালাসে পৌছাল, সকালের সংবাদপত্র সেদিনকার তারিখ নিশ্চিত করছে। শহরের সবাই কেনেডিকে উঞ্চ অভিনন্দন দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে এরকম অনেক কিছু। কিন্তু প্যারাডক্সের সমাধান মতে এটা অরিজিনাল ১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর নয়, যেদিনের ইতিহাস বইয়ে আছে অথবা প্রবীনদের মস্তিষ্কে আছে। অরিজিনাল ২২শে নভেম্বর ১৯৬৩ সালে আমাদের ভ্রমণকারী যেখানে ছিল না, সে সেদিনকার সংবাদপত্রের কপিও কেনেডি অথবা কেনেডির হত্যাকারী অসওয়ার্ল্ডকে দেখে সন্দেহ করেনি। তার এই সকাল পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও ছিল না। তাহলে ভ্রমণকারী প্রকৃতপক্ষে ১৯৬৩ এর ২২শে নভেম্বর যায়নি। সুতরাং এক্ষেত্রে কেনইবা দাবী করা হবে যে ঐ সময়ে গিয়েছিল। এটার সমাধান হলো আসলে সময় পরিভ্রমণকারী যেখানে যাবে সেটা একটা সমান্তরাল বিশ্ব, যেখানে পৃথিবীর সমান্তরাল কিছু ঘটনাই অথবা ধরা যাক প্রকৃতপক্ষে এখানে যা ঘটেছে সেটাই ঘটেছে।
সময় পরিভ্রমণ প্যারাডক্স সমাধানের দ্বিতীয় পন্থায় ধরে নেয়া হয় যে, পরিভ্রমণকারী ঐ সময়ে পরিভ্রমণ করবে ঠিকই কিন্তু ঘটনার কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারবে না। অর্থাৎ ধরে নেয়া হলো যে, পরিভ্রমণকারী ১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বরে পৌঁছল ঠিকই, সংবাদপত্র কিনে সেদিনের তারিখ দেখে নিশ্চিতও হলো, এমনকি কেনেডির গুপ্তহত্যা ঠেকাতে চেষ্টাও করল কিন্তু পারল না। অথবা অসওয়ার্ল্ডকে গুলি করা থেকে নিবৃত্তও করল কিন্তু ধরে নেয়া হলো যে, সেখানে আরো গানম্যান ছিল যাদের সে রুখতে পারল না। অর্থাৎ সময় পরিভ্রমণকারীরা অতীত সময়ে যেতে পারল ঠিকই কিন্তু প্রকৃত ঘটনা বা ইতিহাসের কোন পরিবর্তন করতে পারল না। এধরণের সময় পরিভ্রমণ যৌক্তিকভাবে সমর্থনযোগ্য হতে পারে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটা ফিজিকালী বা শারীরীকভাবে সম্ভব হবে। কারণ, হিসেব করে দেখা গেছে যে, একাজে যে পরিমাণ শক্তির দরকার হবে সেটা প্রকৃত অর্থেই অকল্পনীয় এবং প্রকৃতি সে পরিমাণ শক্তিকে সমর্থনও করে না। আবার একটি যুক্তি দিয়ে অনেকে দেখিয়ে দেন যে, সময় পরিভ্রমণ বাস্তবে কখনও সম্ভব নয়। যদি ধরেই নেয়া হয় বর্তমান প্রযুক্তিগত অসুবিধার কারণে শারীরীকভাবে সময় পরিভ্রমণ করতে যে পরিমাণ শক্তি দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু এটা তো অন্তত ধরে নেয়া যাবে যে ভবিষৎতে প্রযুক্তিগত আরো উৎকর্ষ সাধন হলে এ পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মানুষরা সময় পরিভ্রমণ করতে পারবে। সুতরাং অবশ্যই তারা অতীত পৃথিবী ভ্রমণ করতে চাইবে। কিন্তু আমরা কি আমাদের মানব সভ্যতার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এরকম কোন অতীত সময় পরিভ্রমণকারী দেখতে পাই? সুতরাং হাজার হাজার বছর পরের উন্নত প্রযুক্তির পৃথিবীর মানুষই যদি সময় পরিভ্রমণ করে আমাদের এ সময় বা আগেকার কোন সময়ে আসতে পারেনি, তাহলে কেনইবা আমরা সময় পরিভ্রমণের ব্যাখ্যা মেনে নেব? সুতরাং ওয়েলসের টাইম মেশিন নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়ে সেগুলোকে আগামী দিনের ঘটনা মনে হওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ কি মেনে নেয়া উচিত হবে?

#Collected from: http://www.sachalayatan.com/

Science Pictures

http://sciencepicturess.blogspot.com

বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবির একটি সুন্দর কালেকশন। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

জুলস ভার্ন রচনা সমগ্র

কল্পবিজ্ঞান ভালোবাসে না, এমন বিজ্ঞান প্রেমি খুঁজে পাওয়া ভার। কল্পবিজ্ঞানে যারা খ্যাতি অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে জুলস ভার্নের নাম বাদ দিলে বলতে হবে কল্পবিজ্ঞানই অচল। তাই আজ সব বিজ্ঞান আর কল্পবিজ্ঞান প্রেমিদের জন্য নিয়ে এলাম জুলস ভার্নের একটি কালেকশন। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

Future glass technology of 2020





এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সভ্যতা, আমাদের প্রযুক্তি। জানিনা, কোনোদিন এমন টেকনোলজি আমরা পাবো কিনা। তবে এ থেকে শুধু ভবিষ্যৎ কল্পনাকেই জাগ্রত করে তুলতে পারবো।

Waiting for our Universe's Future. 

একজন সফল ভবিষ্যতদ্রষ্টা

আজকের কল্পনা, আগামীকালের বাস্তবতা। সবাই কল্পনা করতে পারে না। যারা পারেন, তাদের মাঝে একটি অন্যতম নাম হলো জুলস ভার্ন (Jules Verne)। তার সাহিত্য জীবন প্রধানত শুরু হয় ১৮৫০ সালে। এর পর লিখেছেন টানা ৫৫ বছর। ১৮৫০ থেকে ১৯০৫, এই ৫৫ বছরের সাহিত্য জীবনে তিনি আমাদের দিয়ে গেছেন টোয়েন্টি থাউজেন্ডস লিগস আন্ডার দ্য সি, জার্নি টু দ্য সেন্টার অব দ্য আর্থ, ফ্রম দ্য আর্থ টু দ্য মুন, এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ, দ্য মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড, আরো অনেক কল্পবিজ্ঞান। শুধু কল্পবিজ্ঞান বললে ভুল হবে, জুলস ভার্ন এর একেকটি উপন্যাস ছিলো একেকটি স্বপ্ন। যা আমাদের মত বিজ্ঞান প্রেমিদের দেয় রোমাঞ্চ, দেখায় স্বপ্ন, ভাবতে শেখায় নতুন করে।

Jules Verne (1828-1905)
জুলস ভার্নের কল্পনাগুলো ছিলো বিস্তৃত। কতটা সৃজনশীল ও প্রখর চেতনার অধিকারী হলে একজন মানুষ এতোটা দুরদৃষ্টি সম্পন্ন হতে পারে আমার জানা নেই। তিনি তার লেখায় এমন কিছু কল্পনার কথা লিখে গেছেন, যা একসময় কল্পনা করাও ছিলো যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু এখন তা আমাদের কাছে, দৈনন্দিন তুচ্ছ ব্যাপার। তিনি কল্পবিজ্ঞান লিখতেন, কিন্তু তা কখনই গাঁজাখুরি মনে হত না। প্রতিটি কল্পনার মাঝে উঁকি দেয় আজকের বর্তমান। আর তখনকার জন্য, সোনালী ভবিষ্যত।  আজ আমারা তেমন কিছু কল্পনার কথাই জানবো।







ইলেকট্রিক সাবমেরিন: প্রথম সাবমেরিন তৈরি হয় ফ্রান্সে। ১৮৬৩ সালে, যা চলতো বাতাসের সাহায্যে। ১৮৬৭ সালে স্প্যনিশ প্রকৈশলী নারসিস মনটুরিওল ইঞ্জিনের সাহায্যে সাবমেরিন তৈরি করেন। যেটি পানির নিচে দুই ঘন্টা থাকতে পারতো। ঐ সময় সাধারণত বাষ্প-বাতাস নির্ভর সাবমেরিন তৈরি করতেন। এরপর তারা ১৮৮৮ সালে বৈদ্যুতিক সাবমেরিন তৈরির চেষ্টা করে। ঐ সাবমেরিন প্রকল্পটি অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। একই সালে ফরাসি নৌবাহিনী জিমনোট নামের একটি সাবমেরিন তৈরি করে। এই সাবমেরিনটি ২০৪ টি ব্যাটারির সাহায্যে চলতো। কিন্তু জুলস ভার্ন তারও ১৮ বছর আগে, অর্থাৎ, ১৮৭০ সালে ইলেকট্রিক্যাল সাবমেরিন এর কথা লিখেছেন তার বিখ্যাত উপন্যাস "টোয়েন্টি থাউজেন্ডস লিগস আন্ডার দ্য সি" উপন্যাসে। তখন সাবমেরিন তো দূরে থাক, ইলেক্ট্রিসিটির মাধ্যমে যে কোনো যানবাহন চলতে পারে, এটাও কারো জানা ছিলো না। এই উপন্যাসে ক্যাপ্টেন নিমোর একটি তিমি মাছের আকৃতির সাবমেরিন ছিলো, যার নাম নটিলাস। যার পুরোটাই চলতো বিদ্যুতের সাহায্যে।
20000 Leagues Under The Sea

বর্তমান সাবমেরিন

নটিলাস
সৌর পালঃ ১৮৬৫ সালে জুলস ভার্ন  ফ্রম দ্য আর্থ টু দ্য মুন  লেখায় পৃথিবী থেকে চাঁদে যাওয়ার একটা যন্ত্রের কথা বলেন। মানুষ সেই যন্ত্রের মাধ্যমে নভো খেয়াযান দিয়ে চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ২০১০ সালে জাপান এমন একটি সৌর পাল মহাকাশে উতক্ষেপণ করে। নাসাসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার মতে জুল ভার্নের ভিন্নমাত্রিক আগ্রহ তার কল্পনাকে বিস্তৃত করে দিয়েছে। এ জন্য তাঁকে কল্পনার যাদুকরও বলা যায়।
Solar Sail
নুনার মডুলাসঃ মানুষ চাঁদে যাওয়ার কয়েক যুগ আগে জুল ভার্ন চাঁদে যাওয়ার জন্য একটি বিশেষ যন্ত্রের কথা বলেন। এই যন্ত্রটি ছিলো ত্রিকোণাকৃতি। অনেকটা এখনকার রকেটগুলোর মত। জুল ভার্ন এগুলোর নাম দেন 'প্রোজেক্টাইল'। এই যন্ত্র চালানোর জন্য জুল ভার্ন একটি ইঞ্জিনের পরিকল্পনা করেন, যা এই প্রজেক্টাইলকে অভিকর্ষের বাধা পেরিয়ে মহাকাশে নিক্ষেপ করবে।
Lunar Modules
স্কাইরাইটিংঃ "ইন দ্য ইয়ার ২৮৮৯" বইয়ে জুল ভার্ন এটমস্ফরিক এডভ্যার্টাইজমেন্ট নামে এক বিশেষ বিজ্ঞাপণ প্রচার পদ্ধতির কথা বলেন। যেই পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপণ আকাশে লেখা থাকবে। সবাই  সে বিজ্ঞাপণ পরতে বাধ্য। তার ২৫ বছর পরে ১৯১০ সালে প্রথম আকাশে লেখার চেষ্টা করার খবর পাওয়া যায়। ১৯৪০ দশকে পেপসি আকাশে বিজ্ঞাপণ লেখা প্রচার করে।


ভিডিও কনফারেন্সিংঃ "ইন দ্য ইয়ার ২৮৮৯" বইয়ে জুল ভার্ন ফোনোটেলিফোটো নামক একটি ব্যবস্থার কথা বলেন, যেখানে মানুষ দূর থেকে কথা বলতে পারবেন এবং তার যুক্ত একটি আয়নায় তারা পরষ্পরের ছবি দেখতে পারবে। ইন দ্য ইয়ার ২৮৮৯ লেখার ১০০ বছর পরে, ১৯৯০ দশকের পরে আমরা ইয়াহু মেসেঞ্জার,  স্কাইপি ইত্যাদির বদৌলতে হরহামেশাই ভিডিও কনফারেন্সিং করে থাকি। ১৯৬০ দশকে বিভিন্ন মহাকাশ মিশন টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা শুরু হয়।জুল ভার্ন তারও ৭০ বছর আগে ভিডিও কনফারেন্সিং এর ধারণা দিয়ে যান।


নভোযান অবতরণঃ ১৯৫০ সালের পর থেকে মহাকাশ ফেরত যানগুলোকে বেলুনের সাহায্যে সমুদ্রে অবতরণ করানো হত। ফ্রম দ্য আর্থ টু দ্য মুন গল্পে চাঁদ থেকে পৃথিবিতে আসা নভোযানগুলো সমুদ্রে অবতরনের কথা জানান জুল ভার্ন। ১৮৬৫ সালে লেখা এই উপন্যাস, তারও ১০৪ বছর পর ১৯৬৯ সালে মানুষ চন্দ্র জয় করে। এপোলো ১১ মহাকাশযান বেলুনের সাহায্যে প্রসান্ত মহাসাগরে অবতরণ করে।


হেলিকাপ্টারঃ "রোবার দ্য কনকুয়েরার" উপন্যাসে একটি বিশেষ যন্ত্রের কথা বলেন জুল ভার্ন। যা পাখার সাহায্যে চলে। সেই সময় হেলিকাপ্টার তৈরির ধারণা প্রচলিত হলেও তা কয়লার মাধ্যমে চালানোর ধারণা করা হত। জুল ভার্ন প্রথম তা বিদ্যুতের মাধ্যমে চলার ধারণা দেন।


টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার ও টক শোঃ ১৯২০-১৯৩০ দশকে প্রথম টেলিভিশন উদ্ভাবনের খবর জানা যায়। ১৯৩০ দশকে লায়েল থমাস প্রথমবারের মত টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপন করেন। শুরুতে  WNBT  চ্যানেলে সেই সংবাদ প্রচার করা হত কয়েক সেকেন্ডের জন্য। ১৯৪১ সালে দিনে দুবার করে সংবাদ প্রচার করা শুরু হয়। এরও ৫১ বছর আগে জুল ভার্ন টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার আর উপস্থাপনার কথা জানান। ইন দ্য ইয়ার ২৮৮৯ বইয়ে জুল ভার্ন লেখেন,
তখন মানুষ এমন উপায়ে সংবাদ দেখবে, যা প্রতিদিন সকালে মানুষকে সংবাদ দেখাবে। সেই সংবাদ অনুষ্ঠানে রাজনিতীবিদ, সাংবাদিক আর বিজ্ঞানীদের নিয়ে আলোচনা করবেন। 
 সেই ধারাবাহিকতায় বলা যায় আজকের যে টক শো আমরা দেখি, তা শত বছর আগে জুল ভার্নই ধারণা করে গেছেন।

আজ যা কল্পনা, তা আগামীকালের বাস্তবতা। জুল ভার্ন একজন সফল কাল্পনার পথিকৃত, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টা। কল্পনা করতে থাকো, আগামী পৃথিবী তোমার কল্পনার মাঝেই বাস্তব দেখবে। 

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

তথ্য ও আইডিয়া: কিশোর আলো

আসুন মহাবিশ্বকে চিনি-জ্যোতির্বিজ্ঞান ১

মহাবিশ্বের রুপ
আমাদের চির চেনা মহাবিশ্ব

'আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ।' পরীক্ষায় ১ নম্বর পাওয়ার জন্য সামাজিক বিজ্ঞানের এই সংগা ছোটবেলায় আমরা সবাই মুখস্ত করেছি।কিন্তু কি আছে আমাদের চারপাশে?
নদী-নালা,খাল-বিল,গাছ-পালা,ব্রীজ,পাহাড়,দোকান,স্কুল,কলেজ,গরু-ছাগল,ভূত-পেত্নি___ইত্যাদি ইত্যাদি। এর বাইরে কি কিছু নেই? পৃথিবী নামক গ্রহের পরিবেশটার চিত্র এরকমই। কিন্তু পৃথিবীর বাইরের জগত্‍,পরিবেশ চেনার আগ্রহ আদিম কাল থেকেই মানুষ চিন্তা-চেতনার কেন্দ্রবিন্দু। এই চিন্তা-চেতনা থেকেই হোমো সেপিয়েন্স পরিচিত হয় 'মহাবিশ্ব' শব্দটার সাথে। কিন্তু তখন আমরা মহাবিশ্বকে চিনতাম না। মাহাবিশ্ব সম্পর্কে এখন আমরা যেটুকু জানি,সেটুকু জানতে আপেক্ষিক তত্ত্ব,কেন্দ্রিক পদার্থবিজ্ঞান,কণা পদার্থবিজ্ঞান,তাপগতিবিজ্ঞান,প্লাজমা ইত্যাদি এবং সর্বোপরি জ্যোর্তিপদার্থবিজ্ঞানের পেছনে কাছা মেরে ছুটতে হয়েছে। মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা করতে গেলেই প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসে তা হলো,এই মহাবিশ্ব এলো কোথা থেকে? কিকরে হলো এর উত্‍পত্তি? কবেই বা হলো? 
বহুপ্রাচীন গ্রিক,রোমান ও ভারতীয় ঐতিহ্য এবং ইহুদি,খ্রিস্টান,ইসলাম তিনটি আব্রাহামিক ধর্মমতে মহাবিশ্বের উত্‍পত্তি ঘটেছিল খুব নিকট অতীতে। সপ্তদশ শতাব্দীতে বিশপ উসার (Bishop Ussher) হিসাব করে বলেছিলেন মহাবিশ্বের উত্‍পত্তি ঘটেছিল ৪০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে।
Bishop Ussher
তিনি এই হিসাব বের করেছিলেন মজার একটা প্রক্রিয়ায়। বিশপ ওল্ড টেস্টামেন্টের মানুষদের বয়স যোগ করে এই হিসাব পেয়েছিলেন। উনি ধারণা করেছিলেন মহাবিশ্ব ও মানুষ একই সাথে উত্‍পত্তি লাভ করেছিল। দর্শনতত্ত্বের কারণে এই ধারণা বহুআগেই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল সহ তত্‍কালীন (এরিস্টটলের আগে ও পরে) কিছু দার্শনিক ধারণা দিয়েছিলেন মহাবিশ্বের উত্‍পত্তি ঘটেছে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে এবং মহাবিশ্ব ও মানুষ সৃষ্টির পেছনে ঈশ্বরের বিশেষ কোন উদ্দেশ্য আছে। অবশ্য তখনও বেশ কিছু ধর্মের প্রচলন ছিল। তবে দার্শনিকগণ একটি গূঢ় বাক্য ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছিল।তা হলো, মহাবিশ্বকে না জানতে পারলে এটি কবে,কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা জানা অসম্ভব। এই মহাবিশ্ব বা ইউনিভার্সটা আসলে কি? 

সহজ ভাষায় উত্তর-যা বিদ্যমান তার সমষ্টিই হলো মহাবিশ্ব। পরিবেশের উপাদান থেকে এবার চিন্তাধারা প্রমোশন পেল,এসে দাড়াল মহাবিশ্বের উপাদানে। দার্শনিকগণ ঢক ঢক করে পানি পান করার মতই মহাবিশ্বের উপাদান সম্পর্কে ধারণা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ধারণাগুলো রিমিক্স করলে অনেকটা এরকম দাড়ায়-'পৃথিবী মহাবিশ্বের একটা অংশ। শুধু পৃথিবী নয়,চাঁদ,তারা,সূর্য সবই মহাবিশ্বের অংশ।'
তত্‍কালীন ক্ষুদ্র সূর্যপূজারী গোষ্ঠী হিলিয়াম বেলুনের মত ফুলে ফেপে ওঠে এ তত্ত্বে,বিরোধিতাও চলে তাল মেপে। সৌরজগত্‍ এর ধারণাও ছিল বিরোধিতার কেন্দ্রে। সূর্যকে তারা জ্বলন্ত গ্যাসের বল হিসেবে মেনে নিতে পারছিল না। যদিও তার সংখ্যালঘু ছিল। বাকি সমাজে উক্ত ধারণাগুলো জোয়ারের মত বয়ে চলছিল। লোকদের মূল আলোচনা আর জনপ্রিয়তার শীর্ষ ছিল বিস্ময়কর এই মহাবিশ্ব।

বৈজ্ঞানিক তাত্ত্বিক হিসাব-নিকাশ,প্রমাণসহ মহাবিশ্বের সার্জারি শুরু হয় স্যার আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত (theory of general relativity) প্রণয়নের পর।১৯১৬ সালে। মহাকর্ষকে স্থানকালের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা যায় আপেক্ষিক তত্ত্বে। স্যার আইজ্যাক নিউটন এই জিনিসটা খেয়াল করেন নি যে, মহাকর্ষ তত্ত্ব মহাবিশ্বের উত্‍পত্তি সম্পর্কিত কৌতুহল ধারণ করে আছে। আসলে নিউটন স্যার তার অনেক কাজকর্মের মাহাত্মগুলা ঠিক ঠাক বুঝত না বা বোঝার চেষ্টা করত না। হ্যালি কিন্তু এই ব্যাপারগুলোতে নিউটনকে সাহায্য করত। যে হ্যালিকে আমরা ধূমকেতুর পরিচায়ক হিসেবে জানি ও সম্মান করি। অসাধারণ কৌতুহলি এই হ্যালি বন্ধুর মত নিউটনের পাশে ছিলেন সেসময়। যাই হোক,নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল বস্তুকণাই পরষ্পরকে আকর্ষণ করে। এখন সমস্যা হলো,এই আকর্ষনের জন্য তো সব বস্তুরই এক যায়গায় মিশে যাওয়ার কথা। আর গ্রহগুলো কেন সম্পূর্ণ বৃত্তাকার পথে না ঘোরে উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে তাও একটা প্রশ্ন ছিল। নিউটন এরও উত্তর জানিয়ে গেছেন।
'আকর্ষন মান দূরত্বের ব্যাস্তানুপাতে ক্রিয়া করে।' কিন্তু তবুও, মহাকর্ষের প্রভাবে মহাবিশ্ব কখনও চিরস্থায়ী থাকতে পারে না। 

এবার মহাবিশ্ব সম্পর্কিত চিন্তাধারায় সাইক্লোন তৈরি করেন এডউইন হাবল (Edwin Hubble)। ১৯২৯ সালে তিনি আবিষ্কার করেন যে মহাবিশ্ব স্থির না। এটির প্রসারণ ঘটে চলছে। সব ধারণা,তত্ত্বের মোড় ঘুড়িয়ে দেয় এই আবিষ্কার। 
এর পরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো বৃহত্‍ বিস্ফোরণ তত্ত্ব বা big bang theory ।
 বিগ ব্যাংগ থিওরি বলে,-'আজ থেকে ১৫০০-২০০০ কোটি বছর আগে মহাবিশ্বের সকল বস্তুই একটা কেন্দ্রে পূঞ্জিভূত ছিল। যার আকার অনেকটা ডিমের মত ছিল। এর ডিমের ভেতর চলত প্রচুর চাপ,প্রচুর তাপ,সীমাহীন এনার্জির লড়াই। ডিমটার তা আর সহ্য হয় না। বিশাল এক বিস্ফোরণ ঘটে ডিমটির। আজকের গ্রহ,নক্ষত্রসহ সকল পদার্থ,স্থান,কাল ও শক্তি সবকিছুই এই বিস্ফোরন থেকে উত্‍পত্তি লাভ করে।' 
আর এগুলো প্রতিনিয়ত দূরে সরতে থাকে পরষ্পরের কাছ থেকে। প্রতিটি বস্তুকণাই একটা নির্দিষ্ট হারে,নির্দিষ্ট বেগে দূরে সরে যাচ্ছে। দূরে সরতে সরতে এগুলো একসময় এমন এক অবস্থায় পৌঁছাবে, যা হবে এদের শেষ সীমা। এদের দূরে সরে যাবার গতি এদের দূরত্বের সমানুপাতে পরিবর্তিত হয়। অর্থাত্‍, যার দূরত্ব যত বেশী, তার পরষ্পর থেকে দূরে সরে যাবার গতিবেগও তত বেশি।


সালটা ১৯৬৫। আর্নো পেনজিয়াস (Arno Penzias) ও রবার্ট উইলসন (Robert Wilson) নিউজার্সির বেল টেলিফোন ল্যাবে একটি মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা দিয়ে একটা অদ্ভুদ তরঙ্গ ডিটেক্ট করেন। তারা বলেন,'এটি মহাবিস্ফোরনের ফলে আলোক তরঙ্গ সরে গিয়ে লাল রংয়ের তরঙ্গসীমা পেরিয়ে মাইক্রোওয়েভে পরিণত হয়েছে।'
তারা তাদের এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৭৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পায়।।।
______________________________________________

চালিয়ে যাবার ইচ্ছা আছে। লেখায় কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।...

সময়


সময় নিয়ে মানুষের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। আমরা ত্রিমাত্রিক প্রাণী। আমাদের অনুভবে শুধু মাত্র তিনটি মাত্রাই বিদ্দমান। তাই হয়ত এই তিনটি মাত্রা সম্পর্কে আমাদের যেটুকু জানা আছে, সময় সম্পর্কে সেই ধারণাটুকুও নেই। অন্য তিনটি মাত্রার মত আমরা সময়কেও একটি মাত্রা হিসেবেই নেই। কিন্তু না, সময়কে অন্য মাত্রাদের সাথে তুলনা করা যায় না। অন্য মাত্রায় সময় পরিভ্রমনের মত সপ্ন মানুষ দেখে না। টাইম মেশিনের মত লেন্থ মেশিন বা ওয়াইড মেশিন নিয়ে বিজ্ঞানীগণ সারা জীবন ব্যয় করে না। কিন্তু মাত্রাগুলর সাদৃশ্য সহজেই অনুধাবন করা যায়ঃ
প্রত্যেকটি মাত্রাকেই আমরা শুধু পরিমাপই করতে পারি। দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা পরিমাপের জন্য স্কেল,স্লাইড ক্যলিপার্স ইত্যাদি, আর সময় পরিমাপের জন্য ঘড়ি,স্টপ ওয়াচ। তবে অন্য মাত্রাগুলোকে আমরা নির্দিষ্ট বস্তুর জন্য নিয়ন্ত্রন বা নির্ধারণ করতে পারি। সময়ের ক্ষেত্রে তা একটু অন্য রকম হয়ে পরে। কিছু কিছু বিজ্ঞানী বা চিন্তাবিদ একটা ধারণা পোষণ করেন এ ব্যপারে। যা অনেকটা এরকমঃ
‘আমরা ত্রিমাত্রিক। আমাদের মাত্রায় সময় নেই। তাই সময়ের ওপর আমাদের কোনো হাত নেই, কোনোদিন থাকবেও না।‘
কিন্তু আমরা সময় পরিমাপ করতে পারি। অর্থাৎ সময়ের ওপর আমাদের পুরোপুরি কোনো হাত নেই, এটা বলা হয়ত একটু ভুল হবে।

কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে তার উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে হয়। কাজেই সময় সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই সময়ের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রেই সামনে আসে একটি অমিমাংশিত প্রশ্ন।
আমরা সকলেই এখন স্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যং থিওরি সম্পর্কে জানি। থিওরি থেকে অন্তত এইটুকু জানা যায় যে, পৃথিবীর সকল পদার্থ (যেহেতু অপদার্থ বলে কিছু নেই ) এবং শক্তি (যেমন আলো,তাপ,গতি) সেই বৃহৎ বিস্ফরণের ফলে সৃস্টি হয়েছে। কিন্তু মাত্রা?
দৈর্ঘ্য,প্রস্থ,উচ্চতা কিংবা সময় এগুলোর উৎপত্তির ব্যাখ্যা বিগ ব্যংগ থিওরি দিতে পারে না। তাহলে এই মাত্রাগুলোর উৎপত্তি হলো কোথা থেকে? হয়তবা আমাদের একটু মাল্টিভার্স থিওরির দিকে চোখ বোলাতে হবে। আমি এই থিওরি সম্পর্কে যেটুকু জানি তা বলে, মাত্রা হলো এই বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের ধ্রুবক। যা চিরন্তন। উক্ত বৃহৎ বিস্ফরণ এর ফলে শুধু মাত্র এর ব্যপ্তি ঘটে। যখন শুধু এই মাত্রারই নয়, যাবতিও পদার্থ এবং শক্তিরও ব্যপ্তি ঘটে এই বিস্ফরণের মাদ্ধমে। মাল্টিভার্স থিওরি এও বলে যে, আমরা যেই মহাবিশ্বের ধারণা পোষণ করি, এমন মহাবিশ্ব আরো বিদ্যমান। আমাদের অগোচরেই আরো বৃহৎ বিস্ফরণ ঘটে চলেছে অথবা ঘটেছে, মহাবিশ্বে আমাদের অস্তিত্ত থাকাকালেই।।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে ধ্যান ধারণার শুরু সেই প্রাচীনকাল থেকেই। গ্রহ,নক্ষত্র আর পৃথিবী নিয়ে যত সাধনা করা হয়েছে তার ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে না। তবে মাত্রা সম্পর্কিত জ্ঞান সাধনা করা হয়েছে সম্ভবত আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কারের পর। তার আগে যদিও বা হয়ে থাকে তা কতটা অগ্রগতি লাভ করেছিলো তা সন্দেহজনক। তবে সময় পরিভ্রমণকে মাত্রা পরিভ্রমণও বলা যায়। মাত্রা বা মাত্রিক পরিভ্রমণের ব্যপারটা শুধু যে গোলমেলে তাই নয়, মাত্রিক পরিভ্রমণের চিন্তা করতে হলে আমাদের চিন্তা কম পরবে। মাত্রিক পরিভ্রমণের ওপর একটা ফিকশন পরেছিলাম। যার নাম সম্ভবত “মাত্রাহীন যাত্রা”। 
এই ফিকশনে মাত্রিক পরিভ্রমণের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা অনেকটা ফিকশন থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে মাত্রা বা ডাইমেনশন এর ব্যাখ্যা করা খুব সহজ কাজ নয়। আমরা ত্রিমাত্রিক, চতুর্মাত্রা সম্পর্কে আমরা অনেকটা অবুঝ প্রাণী। কারন আমরা কখনো চতুর্মাত্রা সম্পর্কিত কোনো অনুভব লাভ করি নি। সময় নামক মাত্রাকে আমরা কেবল পরিমাপই করতে পারি, সময়ের সংগাকেও ঠিক ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি না।
মাত্রার সাথে শক্তির কোনো সম্পর্ক আছে কি না, এটাও একটা প্যারাদায়ক প্রশ্ন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শক্তিকে স্বাধীন বলেই মনে হয়। কিন্তু কোনো কোনো সময় শক্তির ওপর আধিপত্ত করে মাত্রা। এমন কিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে মাত্রা ছাড়া শক্তিকে কল্পনাও করা যায় না। খুব সাধারণ ভাবেই প্রশ্ন করা যায়, যেখানে সময় নেই সেখানে গতিশক্তি বা অন্যান্য শক্তির অস্তিত্ত্ব কিকরে থাকতে পারে?
-এর ব্যাখ্যা আমি এখনো পাই নি।

এবারে আসি বস্তু বা পদার্থের ক্ষেত্রে।
বস্তু কি মাত্রার অধীন? উত্তর-হ্যাঁ। যেখানে শক্তি মাত্রার অধীন, সেখানে বস্তুর প্রশ্ন তুলতে হবে বলে আমার মনে হয় না। একবার ভাবুন তো, যদি সময় না থাকত তাহলে মহাবিশ্বটা কেমন হত? আমি যখনি এই নিয়ে ভাবি, তখোনি সায়েন্স ফিকশনের মত একটা উত্তর মাথায় আসে। তা হল ‘পৃথিবী থেমে থাকবে’। কিন্তু তাহলে আমাদের অস্তিত্তই থাকত না। এই কয়েকশ মিলিয়ন বছরের বিবর্তনের মাদ্ধমে যে মানুষের উদ্ভব হয়েছে, তা কি করে হত? আচ্ছা, সময়ের কথা বাদ দিলাম। খুব সাধারণ একটা মাত্রা দিয়েই উদাহরণ দেয়া যায়। দৈর্ঘ্যের অস্তিত্ত না থাকলে কি হত? বস্তু কি দৈর্ঘ্য বিহীন হত? কেমন হত সেই বস্তু?
আমাদের অতি পরিচিত মাত্রা দৈর্ঘ্যই আমাদের আটকে দিলো, তাহলে চতুর্থ মাত্রা সময় নিয়ে এমন প্রশ্ন করার আগে we better have to prepare ourselves… 
মাঝে মাঝে নিজেকেই মাত্রাহীন মনে হয়। সবকটি মাত্রা জেনো আমাদের নিয়ে খেলা করছে। আমরা এই মহাবিশ্বে খেলনা মাত্র। আমাদের নিয়ে খেলছে মহাকাল,প্রকৃতি আর মাত্রা।
মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে হয়, সময়ের পরের মাত্রা কি? তারপরের? তারপরের?...............